গ্রামীণ মহিলাদের ছোট ব্যবসার কৌশল

গ্রামীন মহিলাদের ছোট ব্যবসার কৌশল বর্তমান সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ গ্রামের নারীরা একদিক থেকে সংসার সামলান আবার সামান্য পুঁজি দিয়ে ব্যবসার মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে সক্ষম হয়।

গ্রামীণ-মহিলাদের-ছোট-ব্যবসার-কৌশল

যদি গ্রামীণ মহিলারা সঠিক কৌশল প্রয়োগ করে তাহলে কম খরচে অধিক লাভবান হতে পারবে এবং গ্রামীন আর্থিক শক্তিশালী করার পাশাপাশি নিজেদের জীবন যাত্রার মানও উন্নত করতে পারবে। আজকের এই আর্টিকেলে গ্রামীণ মহিলাদের ব্যবসার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ গ্রামীন মহিলাদের ছোট ব্যবসার কৌশল 

গ্রামীন মহিলাদের ছোট ব্যবসার কৌশল

গ্রামীণ মহিলাদের ছোট ব্যবসার কৌশল বলতে বোঝানো হয় এমন সব পরিকল্পনা ও উদ্যোগ তো কম খরচেও সহজ উপায়ে আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে। শিক্ষা ও সুযোগ সুবিধার অভাবে পিছিয়ে থাকলেও নিজের মেধা, শ্রম আর তীব্র ইচ্ছা শক্তি দিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। যেমন গৃহভিত্তিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় পণ্য উৎপাদন বা এমব্রয়ডারির মত হস্তশিল্প অথবা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে স্থানীয় পণ্য বিক্রি করা এসব উদ্যোগকে সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলে দ্রুত আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।

গ্রামের নারীরাই স্থানীয় সম্পদ ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ব্যবসা শুরু করলে তা সহজেই টেকসই হয়। যেমন বাড়ির আঙিনায় সবজি বা মসলা চাষ, দুধ ও ডিম বিক্রি, জামা কাপড় সেলাই বা স্থানীয় পণ্য বাজারজাত করা এসব কাজের জন্য বড় মূল প্রয়োজন হয় না কিন্তু নিয়মিত আয় পাওয়া যায়। আবার আধুনিক প্রযুক্তি ও অনলাইন বাজার ব্যবহার করে গ্রামের অন্য শহরে বিক্রি করা সম্ভব। যা তাদের আয় পাড়ায় এবং ব্যবসা পরিচর্য প্রসারিত করে।

বিশ্বের বহু দেশের মতো বাংলাদেশেও গ্রাম অঞ্চলে ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। যদিও শহরের ব্যবসা করা চাহিদা অনেক বেশি গ্রামের ব্যবসার লাভের দিকে তাই উপেক্ষিত থাকে। বর্তমান সময়ে গ্রামের ব্যবসায় আইডিয়া নিয়ে অনেকে সফলতা লাভ করেছে। বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য চাষ, হস্তশিল্প এবং ছোট আকারে ব্যবসা উদ্যোগের মাধ্যমে। তবে গ্রামের সকল ব্যবসা করতে গেলে কি বিশেষ কিছু প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা প্রয়োজন । সঠিক পরিশ্রম ও ধৈর্য ধরলেই সফল হওয়া অসম্ভব কিছু না।

গ্রামে ব্যবসা শুরু করার প্রস্তুতি

গ্রামে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সর্ব প্রথমে আপনাকে একটি লাভজনক ব্যবসা নির্বাচন করতে হবে হতে পারে সেটি কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, হতে পারে হস্তশিল্প আবার হতে পারে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি। এরপর আপনাকে বাজার যাচাই করতে হবে এবং ক্রেতাদের প্রয়োজন বুঝতে হবে। সবশেষে একটি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ নিয়ে এবং পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

আপনি যদি সামান্য পুঁজিতে গ্রামে ব্যবসা শুরু করতে যান তবে শুরুতে আপনাকে অভিনন্দন। কোন জায়গা নতুন ব্যবসা শুরু করার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আপনাকে স্বাগতম। তবে খুশিকে দমিয়ে রেখে এবার পুরো দমে আপনার ব্যবসাতে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিন। আপনার পুরো কর্ম পরিকল্পনাকে এমন ভাবে ভাগ করে নিবেন যাতে আপনার সকল বা কাজের ব্যবস্থাপনা অজয় সহজ হয়।

স্বল্প পুঁজিতে কোন পাইকারি বা খুচরা পণ্যের ব্যবসা করতে চাইলে সবার আগে ক্রেতার প্রয়োজন বুঝতে হবে। পরবর্তীতে আপনার ভাবনার বিষয়টি হবে এই ব্রণের বিক্রয় করে লাভের পরিমাণ কেমন হবে। তাছাড়া আরো একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ যেটি হলো আপনার বাছাই করা ব্যবসাটি কতদিন পর্যন্ত আপনাকে মোনাফেদের সক্ষম। ব্যবসা শুরু করার পরে পুজির সংকট দেখা দিলে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনার পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবস্তিত হতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

ব্যবসার জন্য স্থায়ী পুজির সংস্থান করুন

ব্যবসার জন্য স্থায়ী মূলধন পেতে হলে আপনাকে প্রথমে মূলধনের একটি পরিকল্পনা করতে হবে তারপর আপনার ব্যবসা ও প্রয়োজন অনুযায়ী আর্থিক উত্তর যেমন ব্যাংক লোন, ব্যক্তিগত সঞ্চয়, সরকারিভাবে সরকারি অনুদান, অংশীদারি বিনিয়োগ বা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ব্যবসার জন্য স্থায়ী পুজো সংস্থান করা যে কোনো উদ্যোগের দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক করার প্রধান উপায়। স্থায়ী পূজ বলতে বোঝানো হয় যা দিয়ে ব্যবসার প্রাথমিক কাঠামো গড়ে তোলার সম্ভব হবে।

ব্যবসার জন্য স্থায়ী পূজো সংস্থান করতে হলে আগে স্পষ্ট পরিকল্পনা ও বাস্তব সম্মত বাজেট তৈরি করা জরুরী। যেমন একটি ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য সেলাই মেশিন, চেয়ার টেবিল ও সংরক্ষণকার দরকার হতে পারে। তাই প্রথম ধাপ হলো ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ও উপকরণের তালিকা তৈরি করা। এরপর অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওষুধে ব্যবহার করা যেতে পারে। এভাবে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় স্থায়ী সম্পর্ক নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসা সহজে বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকে।

ব্যবসার জন্য স্থায়ী পুজিসংস্থান একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা একেবারেই নয় বরং ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে হয়। শুরুতে ছোট আকারে ব্যবসা শুরু করে স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ করলে আর্থিক চাপ কমে। ব্যবসায়িক অংশীদারিতেও স্থায়ী গঠনের একটি শক্তিশালী উপায় কারণ একাধিক ব্যক্তি মিলে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কমে যায় এবং সম্পদ গড়ে তোলা সহজ হয়। যে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে পুঁজি সংগ্রহ করা হোক না কেন সঠিকভাবে পরিকল্পিত হাতে ব্যয় করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটে পড়তে না হয়।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মুদিখানার ব্যবসা

মুদিখানার দোকান শুধু বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যবসা নয় বরং সারা বিশ্বে বিভিন্ন নামে মুদিখানা দোকান চলছে। এই যেমন বাংলাদেশের মহল্লাপাড়া মুদির দোকান পাশের দেশ ভারত কিনারা নামে পরিচিত। আর সারা বিশ্বে এই মুদি দোকান গ্রোসারী সব এবং কর্নার স্টোর নামে বহুল পরিচিত একটি ব্যবসা। এই ব্যবসা সবখানে এত জনপ্রিয় পাওয়ার মূল কারণ হলো মুদি দোকানের পণ্যের তালিকা, যেখানে থাকে কাস্টমারদের নীতি প্রয়োজনীয় পণ্যের উপস্থিত।

একটি বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী পণ্যের তালিকা এই ব্যবসা শুরু করতে এবং সফলভাবে চালাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মুদি দোকানের পণ্যের এই লিস্ট কোন হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে পরিচালনা হওয়া আপডেট করাটাও এখন সময়ের দাবি। মুদিখানার দোকানে একটি লাভজনক রিটেইল বা খুচরা ব্যবসা। পাড়া-মহল্লা সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত ও সাংসারিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সমাহার দেখা যায় এই মুদিখানা দোকানে।

গরু মহিষ পালনের ডেইরি ফার্মের ব্যবসা

দেশে গবাদি পশু তথা গরু পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। গরু পালন করে অনেকে আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন এবং গরু পালনের মাধ্যমে তাদের বেকারত্ব দূর হচ্ছে। বাংলাদেশে গরুর মাংস খুব জনপ্রিয় এবং চাহিদাও অনেক। তাছাড়া মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব কোরবানি সময় অনেক গরু জবাই করা হয়। গরু মোটাতাজাকরণের পদ্ধতি বাংলাদেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং লাভজনক ব্যবসা। শিক্ষিত যুবকেরাও ঢুকছে সে খামার ব্যবসায়ী। কৃষি ও পশুপালনীয় প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে উচ্চশিক্ষিত যুবকরা এখন খামার ব্যবসায়ী।

গ্রামীণ-মহিলাদের-ছোট-ব্যবসার-কৌশল-সম্পর্কে-বিস্তারিত

একটি ছোট কিংবা মাঝারি ধরণের উন্নত গরু সমৃদ্ধ খাবার একজন যুবকের কর্মসংস্থানের ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে এজন্য খামার ব্যবস্থাপনা ভালো হতে হবে। গরু মোটা তাজা করার জন্য শুধু খাবার দিলেই হবে না। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চিকিৎসা করাতে হবে। তরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য যাদের পর্যাপ্ত ঘাস নে বিকল্প উপায়ে ঘাস চাষ করা গরুকে খাওয়াতে হবে। বাড়ির আশপাশে প্রতিযোগিতা ঘাস লাগিয়ে দিতে হবে শেখ হলে কান্ড খরচ কমে আসবে।

বাড়িতে বসে হাঁস-মুরগি পালনের ব্যবসা

গ্রামীন নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উপকূলীয় চরাঞ্চলের সম্পর্কিত প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মৌলিক নারী প্রশিক্ষণ শেষে হাঁস মুরগি বা ঘেরা পাচ্ছেন নারীরা। আর সেই স্বল্প পুঁজি নিয়েই কুরুশের পাশাপাশি নিজের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা। পাশাপাশি গ্রামের বিভিন্ন মেয়েরা এই ব্যবসার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। বাড়িতে হাঁস মুরগি পালন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।

মুরগির ফার্মে করে ব্যবসা করার অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে কারিগরি জ্ঞান থাকার বেশি প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে ভালো হয় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পবাদ দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ নিল। কোন মুরগি ফার্মে কিছুদিন কাজ করেও প্রাথমিক মুরগি পালন করার জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। একটা ভালো মানের আমার তৈরি করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হল প্রস্তুতি। প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে যে কোন একটা কাজে সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে।

 ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করা

বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব পড়েছে অনেক ব্যাপক। আর এই ডিজিটাল যুগে ডাটা বা তথ্য হচ্ছে একটি ব্যবসার অন্যতম চালিকা শক্তি। এক কথায় বলতে হয় ডাটার মাধ্যমে কাস্টমারের রুচি, পছন্দ, সমস্যা জানা যায় এবং একটি ব্যবসা সেই অনুসারে তার প্রজেক্ট ছায়াতে পারে মার্কেটিং বা প্রচার করতে পারে। আর এ কারণে ছোট থেকে বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান ঢাকায় সংগ্রহ ম্যানেজমেন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন স্টেজে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

গ্রামীণ-মহিলাদের-ছোট-ব্যবসার-কৌশল-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

 ডাটা এন্ট্রি বলতে একটি এন্টি লেভেল এর জব হলে যাদের মেধা আছে চিন্তাভাবনা করতে পারে তাদের এখানে ভালো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান জানা থাকলে আপনি সহজেই ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। কম্পিউটার কিভাবে ফাইল সেভ করতে হয় জানেন না ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানেন না তাহলে আপনি এসব কাজ করতে পারবেন না। শহর এলাকার ডাটা এন্ট্রির কাজের চাহিদা দিন দিন বেশি বাড়ছে। পাশাপাশি গ্রামের ছেলে মেয়েরা এসব করছে।

কৃষি উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ

গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে কৃষি উৎপাদন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বাস করে এবং কৃষি কাজে নিয়ে যেতে থাকে। কৃষি উৎপাদন মূলত সবজি, ফলমূল এবং কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে পারে। গ্রামে কৃষি উৎপাদন করার সময় বিশেষভাবে যদি আধ কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার হয় তবে ফলন বৃদ্ধি পায় এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হয়।

কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ হলো একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া যেখানে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে শস্য ও অন্যান্য কৃষি পণ্য উৎপাদন করা হয় এবং পরবর্তীতে সেগুলোকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে  রূপান্তর করা হয়।এর মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি সংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব।একজন কৃষক ফসল চাষ করা থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে।এই পরিশ্রমের ফসল বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকে।

গ্রামীণ মার্কেট ও হাটে বিক্রি সুযোগ নেওয়া

গ্রামে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন।যেমন বই ্খাতা্কলম ইত্যাদি এসব শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।আপনি চাইলে গ্রামের দোকানে আপনার হাতে বানানো পণ্য বিক্রি করতে পারেন।আপনারযদি বেশি বুঝি না থাকে তবে অল্প টাকায় বিভিন্ন ব্যবসা করতে পারেন।যেমন ঝাল মুড়ি আচার চা ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।এতে আপনি আপনার খরচের চেয়ে ২ ৩ গুন বেশি লাভ করতে পারবেন।আপনার বেশি বুঝি না থাকলে এটাই আপনার জন্য পারফেক্ট ব্যবসা।

গ্রামীণ হাটবাজারের রূপান্তরের চিত্র সারাদেশে একরকম নয়।রাজধানীর নিকটবর্তী জেলাগুলোর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতার আলোকে এ বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় যে স্বাধীনতার পর পিসিতে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক প্রযুক্তির উপকরণ সংগ্রহের জন্য কৃষককে বাজারের উপর অধিক নির্বাসন করে তোলে।কৃষিকাজ শুধু ছেলেরা না পাশাপাশি এখন মেয়েরাও করছে।মেয়েরা যদি চায় তাহলে ছেলেদেরটাকা দিয়ে নিজের জমিতে কাজ করিয়ে নিতে পারে।শুধু বেশি পুঁজি থাকতে হবে তাহলে ঘরে বসে থেকে আয় করতে পারবেন।

শেষ কথাঃগ্রামীণ ছোট মহিলাদের ব্যবসার কৌশল 

গ্রামীন মহিলাদের ছোট ব্যবসার কৌশল সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন।আমি এই আর্টিকেলে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি গ্রামীণ মহিলারা কিভাবে ব্যবসা করবে বা কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায় সেই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।গ্রামে ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং সঠিক পরিকল্পনা মাধ্যমে গ্রামে সফলতা পাওয়া সহজ।তবে সফলতার জন্য বাজার যাচাই চাহিদা বোঝা এবং হিসাব রাখা জরুরী।উপরে উল্লেখিত যে ব্যবসা গুলোর কথা আমি বলেছি এসব ব্যবসা করলে আপনি সফলতা পেতে পারেন।

উপরে উল্লেখিত মহিলাদের জন্য প্রতিটি ব্যবসায়িক ধারণা স্বর্গ এবং গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে একটি পদ্ধতির মাধ্যমে সাফল্যের পথ তৈরি করা সম্ভব।আমি এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ ব্যবসার কৌশল সম্পর্কে বলার চেষ্টা করেছি।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আমাদের এই ব্লগে নিয়মিত অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে পোস্ট লেখা হয়।পরবর্তী পোস্টের জন্য সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন।আপনার মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইদুল আইটি মাস্টার এর নীতিমালা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url