চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

 চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের কাছে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক. আজকাল ব্যস্ত জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ, ও পরিবেশ দূষণের কারণে অনেকের চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। শুধু সৌন্দর্যহানি করে না বরং আত্মবিশ্বাসেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

চুল-পড়া-বন্ধ-করার-উপায়

তবে নিয়মিত যত্ন, সঠিক খাদ্য অভ্যাস, প্রাকৃতিক প্রতিকার ও চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্যা অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সঠিক পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা একসাথে করলে চুল পড়া বন্ধ করা ও নতুন চুল গজানো উভয় সম্ভব হয়।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায় 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এমন একটি স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ যা আমাদের চুলের সৌন্দর্য ও সুস্থতার বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুল পড়া স্বাভাবিকভাবে ঘটে এবং যে কেউ চুল হারাতে পারে। এই সমস্যাটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যেমন চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে কোন দিকে নতুন চুল বাজাচ্ছে না যার ফলে আত্মবিশ্বাসও প্রভাব পড়েছে। তবে সঠিক যত্ন নিলে ও জীবনযাত্রার কিছুটা সহজ পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বয়স বৃদ্ধি এবং জেনেটিক্স উভয় চুল করার কারণ হতে পারে। চুল পড়ার প্রকৃত কারণ জানলে তার ওপর নির্ভর করে কোন চিকিৎসা পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করা যায়। চিকিৎসার মধ্যে সাপ্লিমেন্ট, ওযুক্ত মলম এবং জীবন যাত্রার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। একজন চিকিৎসক আপনাকে সাহায্য করতে পারে যে কোন অন্তর্নিহিত চিকিৎসা সমস্যা যার কারণে চুল পড়ে যায়। পরামর্শ করুন যিনি আপনাকে দ্রুত ভারী চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনার যদি সম্পূর্ণ চুল ঝরে পড়ে যায় তবে আপনি অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে চোর উপস্থাপন করতে পারেন। বস্ত্র পাচার হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে দাতার এলাকা থেকে লোমকূপ গুলি পাতলা চুলের এলাকায় বা রোগীর তার জায়গায় প্রতিস্থাপন করা। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি পুরুষ ও মহিলা উভয়ের উপকার হতে পারে এবং সাধারণ স্থানীয় অধীনে সঞ্চালিত হয়। যাইহোক কিছু ক্ষেত্রে এটি সাধারণ এনেন্সেশিয়ার অধীনেও করা যেতে পারে।

কিশোর বয়সে অত্যাধিক চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

আজকাল কিশোর কিশোরীদের একটি অতি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চুল পড়া। এটা কাছে তো বটেই কিশোরীদের কাছে বেশ উদ্যোগের কারণ হতে পারে। সাধারণত একজন মানুষের দৈনিক ১০০ টির মতো চুল পড়তে পারে। সেগুলো আবার গজিয়ে যায়। কিন্তু চুল পড়ার সংখ্যা যদি এর চেয়েও বেশি হয় তাহলে কারণ জানা জরুরী। বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি। তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েরা অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অল্প খাবার খাই। এতে সুষম খাদ্যের ঘাটতি হতে পারে।

অতিরিক্ত চুল পড়া আরেকটি কারণ হতে পারে থাইরয়েড সমস্যা। এ সমস্যার কারণে চুল গজাতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং চুল বেশি করতে পারে। অত্যাধিক চুল পড়া পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এর একটি বৈশিষ্ট্য হতে পারে। ডিম্বাশয় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেক্টর হরমোন উৎপাদন করে। এর সঙ্গে পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেনের একটি অংশ উৎপাদন হয় ডিম্বাশয় থেকে। আক্রান্ত হলে ডিম্বাশয় অতিরক্ত পরিমাণে এন্ড্রোজেন তৈরি করে যার ফলে অতিরিক্ত চুল করে।

মাথার ত্বকে কিছু ছত্রাকের আক্রমণের কারণেও চুল পড়তে পারে। আজাদদীর্ঘ সময় ে স্যতসেতে চুল ঢেকে রাখার ফলে এই ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। মাথায় চুলকানো এবং মাথার ত্বক লাল হয়ে যাওয়া মত লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে। চুলের রং করার মতো কারণেও অনেক সময় চুল পড়তে পারে। আবার চুলে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রনের ফলে চুলের ক্ষতি হয়। আয়রন বা ব্লু ড্রইং থেকে অতিরিক্ত তাপ দেওয়ার ফলে চুলের ক্ষতি হয়।

প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া কমানোর উপায়

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক, তেল এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করে আপনি নিজের চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে পারেন। রাসায়নিক পদার্থ সমৃদ্ধ পণ্যের বদলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে আপনার চুলকে স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। প্রাকৃতিক উপাদান রাসায়নিক উপাদানের চেয়ে কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বাড়িতে পাওয়া উপকরণ দিয়ে আপনি হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।

আমাদের চারপাশে অনেক উপকারী জিনিস রয়েছে যেমন আমলকি, এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী, মেথির বীজ, নারকেলের তেল, নিমপাতা ইত্যাদি। আমলকির তেল চুলের জন্য অত্যান্ত উপকারী। এদের চুল পড়া কমাতে এবং চুলের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত মালিশ করলে চুল স্বাস্থ্যবান হবে। দুই থেকে তিনবার আমলকির মাথার ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করুন। চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমায়।

এলোভেরা চুলের পুষ্টিযোগায় এবং সূক্ষ্মুখী কমাতে সাহায্য করে। জেল চুলের গোড়ায় মালিশ করে কিছুক্ষণ ধুয়ে ফেললে চুল সিল্কি ও সাইনি হয়। অ্যালোভেরা পাতা খেতে জেল বের করে চুলের গোড়ায় লাগে সারা চুলে ছড়িয়ে দিন। এরপর ৩৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া আপনি চাইলে নিমপাতা দিয়ে চুল পড়া কমাতে পারেন। নিম পাতা তার আন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি এমফ্লামিটারি গুণাবলীর জন্য পরিচিত, যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে কার্যকর।

তাছাড়া নিম পাতার রস চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। । এটি খুকসি দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস তৈরি করার জন্য প্রথমে নিমপাতা গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। পাতাগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে কিছুক্ষণ পানি সহ পিষে নিতে হব। এরপর একটি ছাঁকনি দিয়ে পেছনটিকে চেপে রস বের করতে হবে। সবকিছু হয়ে গেলে চুলের গোড়ায় নিম পাতার রস সমানভাবে আর লাগাতে হবে। এরপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

চুল পড়া প্রতিরোধে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার গুরুত্ব

চুলের বিল্ডিং ব্লক, চুলের বৃদ্ধি এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য হচ্ছে প্রোটিন। চুল প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রোটিনের চমৎকার উৎস হচ্ছে ডিম। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ডিম খান তবে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়াও বায়োটিন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি খেলে আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূর্ণ হয়। প্রোটিন চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যবান করে তোলে।

আরো পড়ুন ঃজাফরান এর উপকারিতা এবং ব্যবহারের উপায়

উদ্ভিজ্জ হিসেবে প্রোটিনের উৎস হচ্ছে মসুর ডাল। প্রতিদান না করা কাপে প্রায় 18 গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও ফাইবার, আইরন এবং ফোলেট সমৃদ্ধ এ ডাল। যা প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এছাড়াও মুরগির মাংস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম মাংসে প্রায় ৩১ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং চুলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মাধ্যমে চুল মজবুত রাখা

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য মেনুতে রাখতে পারেন ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন বি আবার ভিটামিন বি সেভেন নামে পরিচিত। বায়োটিন চুলের যত্নের জন্য সর্বাধিক পরিচিত ভিটামিন বি গুলির মধ্যে একটি। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাল, শস্য, মাংস এবং সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়।

চুল-পড়া-বন্ধ-করার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত

পুষ্টিবিদ অঞ্জলীর মতে এই ভিটামিন- ঘাটতি মেটালে চুলের উজ্জ্বলতা তো বাড়বেই সেই সঙ্গে একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে। ভিটামিন বি৭ এবং বি ১২ হেয়ারসেল বা চুল কোষ গঠনে সাহায্য করে। নতুন চুল বাজাতে এবং চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ কোনো খাবার খেলে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। আপনার চুল মজবুত রাখার জন্য সবুজ শাকসবজি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাবেন।

চুল পড়া রোধে মেডিকেল থেরাপি

সাধারণত এই চুল পড়া রোগটি ১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করে সকল মানুষদের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুল পড়া রোধে সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে মিনোক্সিডিল ট্রপিকাল সলিউশন এর সঙ্গে প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি নেওয়া। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সবকিছু করতে হবে। নিজে থেকে কিছু করতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আবার সব চিকিৎসক সবার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। এর জন্য অবশ্যই বুঝে শুনে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থেরাপি হচ্ছে পি আর পি থেরাপি। পিআরপি থেরাপি মানে প্লাজমা রিচ প্রোটিন থেরাপি। এই চিকিৎসায় রোগীর রক্ত আহরণ করে তা কিছু উপাদান যন্ত্রের মাধ্যমে আলাদা করা হয়। তারপর সমৃদ্ধ রক্তের অংশ শৃঙ্গের মাধ্যমে পড়ে যাওয়া চুলের গোড়ায় প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণত প্রথম তিন মাস প্রতি মাসে একবার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল।

নিয়মিত হেয়ার স্পা করার সুবিধা

হেয়ার স্পা চুল ও স্কেলপের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত স্পা করলে শুষ্ক ও রুক্ষ চোরের সমস্যা দূর হয়। চুলের ফিজিনেস এবং দুমুখো চুলের সমস্যা এড়ানো যায়। হেয়ার স্পা যে স্ক্রিম ব্যবহার হয় তা চুলকে ময়েশচারাইজ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া হেয়ার স্পা করালে স্কেলপে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে চুল দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায়, চুলের ফলিকলের পুষ্টি পৌঁছায় এবং চুল ভালো থাকে।

আরো পড়ুনঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

বাজারে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার মাছ ও ইস্পাক ক্রিম পাওয়া যায়। প্রয়োজন মত একটি বেছে নিন এছাড়া টক দই, ডিম, মেথি, নারকেল তেলের মতো উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে হেয়ার মাস্কও বানাতে পারেন। আপনি যে পণ্য স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন সেটাই ব্যবহার করুন। নোংরা চুলের হেয়ার স্পাক্স করলে কোন উপকার পাবেন না। স্পা করার আগে অবশ্যই আপনার চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে যাতে কোন ময়লা না থাকে। এরপর শুকনো চুলে হেয়ার স্পা করবেন।

চুল পড়া ঠেকাতে অলিভ অয়েলের ব্যবহার

অলিভ অয়েল ত্বক এবং চুলের যত্নে ব্যবহারের পাশাপাশি কুকিং ওয়েল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে বহু উপকারিতা এজন্য এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ছে। পুষ্টিগণে ভরপুর রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে। ভিটামিন ই চুল এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অলিভ অয়েল পলিফেনশন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীর ফ্রি radical ক্ষতিকর রোধ করে এবং রাসায়নিক সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

চুল-পড়া-বন্ধ-করার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল। যুগ যুগ ধরে প্রাচীন মিশর এবং রোমান সভ্যতা এ তেল ব্যবহার হয়ে এসেছে চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। অলিভ অয়েল ব্যবহার ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়, খুবসি দূর হয়, চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে, চুলের আগা ফাটা রোধ করে ইত্যাদি। যাদের চুলের ডগা বা আগা ফেটে যাচ্ছে তাদের জন্য অলিভ অয়েল এক কার্যকরী উপাদান।

চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রসের কার্যকারিতা

চুল পড়ার ঘরোয়া উপায় হিসেবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করাবো পুরনো। পেঁয়াজের সালফারের পরিমাণ অনেক বেশি। এই খনিজটি নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কাজ করে। পেঁয়াজের রস চুলের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কেরাটিন উপাদানের হাড় বাড়ি তুলতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়াজের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা মাথার ত্বক কে কোন রকম সংক্রমণ হতে দেয় না।

এই পেঁয়াজের রস ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনাকে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে পিষে  নিতে হবে। এরপর ছাকনিতে রস ছেঁকে নিয়ে তার সঙ্গে পরিবার মত এলোভেরা বা জেল মেশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে মাথার ত্বকে মেখে রাখুন কমপক্ষে আধা ঘন্টা। আধাঘন্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন এই মিশ্রণটা মাখতে রাখতে পারেন। চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই কাজে আসবে।

শেষ কথাঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় আসলে শুধু বাহ্যিক যত্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ভেতর থেকে িক শরীরকে পুষ্ট করা এবং বাহির থেকে সঠিক পরিচর্যার সমন্বয়। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় মানে হলো সঠিক খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো এবং ক্ষতিকার অভ্যাস থেকে দূরে থাকা। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় অবলম্বন করলে দীর্ঘমেয়াদে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় থাকে এবং আগাম টাক পড়া ঝুঁকি কমে যায়।

আমার দেয়া এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে চুল আবার আগের মত ঘন মজবুত এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠতে পারে। আমি এই আর্টিকেলে চুল পড়ার সমস্যা এবং সমাধান সবকিছু খুব ভালো করে বুঝিয়ে লিখেছি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ছাড়া হয়। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইদুল আইটি মাস্টার এর নীতিমালা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url