সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় জানা প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যারা জাপানে পড়াশোনা কাজ বা প্রশিক্ষণের স্বপ্ন দেখে। দেশটি বিশ্বে সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত। জাপান একটি উন্নত দেশ যেখানে শিক্ষার পাশাপাশি চাকরিরও সুযোগ রয়েছে।

সরকারি-ভাবে-জাপান-যাওয়ার-উপায়


বর্তমান সময়ে জাপান যাওয়ার স্বপ্ন অনেক তরুণ তরুণদের মধ্যে দেখা যায়। তবে বৈধ পথে বিদেশ যেতে গেলে জীবনযাত্রা নিরাপদ ওই স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সরকারিভাবে কিভাবে জাপান যাওয়া যায় সেই সম্পর্কে আমি আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় হলো বিদেশে নিরাপদ যাওয়ার সবচেয়ে সঠিক পথ। অনেকেই স্বপ্ন দেখে উন্নত দেশ জাপানে পড়াশোনা, কাজ বা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কিন্তু বৈধ প্রক্রিয়া ছাড়া এ স্বপ্ন পূরণ করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকারের নিয়ম মেনে ভিসা অনুমোদিত এজেন্সি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে জাপান যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

স্টুডেন্ট কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপানে আগ্রহীদের অবশ্যই সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা দরকার। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে সরকারি ভাবে জাপান যাওয়া যায়। এর জন্য আপনাকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএমইটি (BMET) এর পরামর্শ নিতে হবে. তারা বাংলাদেশ থেকে সরকারি কর্মী বিদেশে নিয়োগ করে থাকে।

আপনাকে জাপান যাওয়ার জন্য রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড দিতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই ফি প্রদান করবেন। একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে জাপানের চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করলে আপনাকে আবেদন করতে হবে। আপনি অফলাইনে কিংবা অনলাইনে আবেদন পত্র জমা দিতে পারবেন। লিখিত মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হয়।

আরো পড়ুন ঃ ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়

সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হবে। আপনি যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে জাপানে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর বিএমইটি (BMET) কর্তৃপক্ষ তাদের জাপান যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে। আপনি যদি দেশটিতে যেতে চান তবে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

সরকারিভাবে জাপান যেতে কি কি লাগে

জাপানের সরকারিভাবে যেতে হলে সবার আগে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন। পাসপোর্ট এর মেয়াদ অন্তত ছয় মাসের বেশি থাকতে হবে এবং সব তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করা উচিত। এরপরে মূল বিষয় হলো ভিসা। আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার ধরন নির্ধারণ হবে যেমন কাজের জন্য ওয়ার্ক ভিসা, পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা, ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা অথবা প্রশিক্ষণের জন্য টেকনিক্যাল ইন্টারন ভিসা।

সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়. এসব ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত ও জমা না দিলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না আর এই নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে জাপানি ভাষা শিখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা বা যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাগজপত্র বা দক্ষতা আলাদা হতে পারে। সকল কাগজপত্র সম্বন্ধে নিজে ব্যাখ্যা করা হলো ঃ

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • স্বাস্থ্য সনদ
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • বিএমইটি
  • ভিসার জন্য আবেদন ফর্ম

সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য উল্লেখিত সমস্ত কাগজপত্র সঠিক পোস্টটি রাখা প্রয়োজন। ভুল বা অসম্পূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিলে আবেদন বাতিল করা হবে। এর জন্য আপনাকে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখতে হবে। সবশেষে ভিসা অনুমোদনের পর বিমান টিকিট কিনতে হয় এবং অনেক সময় ট্রাভেল ইন্সুরেন্সও করতে হতে পারে। সব মিলিয়ে বলতে গেলে পাসপোর্ট ভিসার আবেদন শিক্ষাগত কাজের কাগজপত্র এসব প্রস্তুত রাখলে জাপানে সরকারিভাবে যাওয়া সম্ভব হয়।

জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

জাপান পৃথিবীর অন্যতম একটি শান্তিপ্রিয় ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ। বাংলাদেশ থেকে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে কোন কাজে চাহিদা বেশি জানতে হবে। বর্তমান জাপান কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, প্লাম্বার, ক্লিনার, প্যাকেজিং কর্মী, ড্রাইভিং, ডেলিভারি সার্ভিস ইত্যাদি কাজের চাহিদা রয়েছে। জাপানে কনস্ট্রাকশন ও এগ্রিকালচার সেক্টরের কাজের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে। 

তাছাড়া জাপানে পড়াশোনা এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। এটি দেশটির দীর্ঘদিনের ধরে রাখা সুনাম। এটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি দেশ যেখানে নানা ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার কারনে কাজের সুযোগ অফুরন্ত। এসব কাজের পাশাপাশি দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন যেকোনো একটি অথবা দুটি কাজের ওপর। জাপানে যেসব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেসব কাজ শিখে যেতে পারলে ভালো।

কাজের ভিসায় জাপানে যাওয়ার উপায় 

কাজের ভিসায় জাপানে যাওয়ার উপায় তুলনামূলক সহজ হলেও কৃষি নির্দিষ্ট ধাপ মেনে চলতে হয়। প্রথমে আপনাকে জাপানে কোন বৈধ কোম্পানি বা নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অভাব নিশ্চিত করতে হবে। চাকরি বা কাজের চুক্তিপত্র পাওয়ার পর সে কোম্পানি আপনার জন্য সিওই সংগ্রহ করতে হবে। ইমিগ্রেশন অফিসে ইস্যু করা হয় যা ভিসা প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি। এরপর আপনাকে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাস বা কনসুলেটে প্রয়োজনীয় আবেদন করতে হবে।

সাধারণত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে পাসপোর্ট, ছবি, সিওই, চাকরির অফার লেটার, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য প্রয়োজনে ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে ভিসা অনুমোদিত হলে আপনি কাজের ভিসা নিয়ে জাপানে যেতে পারবেন। এই ভিসার মেয়াদ সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ে নবায়ন করা যায়। কাজের ভিসায় জাপান যেতে হলে ধৈর্য ও সঠিক প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্বাস্থ্য সনদ এবং আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ জমা দিতে হয়। আবেদন গৃহীত হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভিসা ইসু হয়। সঠিক নির্বাচন, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত এবং ভাষা শেখার মাধ্যমে জাপানের কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়।

টুরিস্ট ভিসায় জাপানে ভ্রমণের প্রক্রিয়া

টুরিস্ট ভিসায় জাপানে ভ্রমণ করতে হলে কিছু ধাপ অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রথমে আপনাকে জাপান ভ্রমণের উদ্দেশ্যই স্পষ্ট করতে হবে যেমন ভ্রমণ, দর্শন, আত্মীয় বা বন্ধুর সাথে দেখা করা ইত্যাদি। এরপর জাপান ভ্রমণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। বৃষ্টিতে ভ্রমণের জন্য ভিসার মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয় মাসের হতে হবে। তবে আপনি জাপান যেতে পারবেন তা না হলে আপনার আবেদন বাতিল করা হবে।

সব কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর জাপান দূতাবাস বা অনুমোদিত ভিসা প্রসেসিং সেন্টারে আবেদন পত্র জমা দিতে হয়। সাধারণত টুরিস্ট ভিসার প্রসেসিং টাইম পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। ভিসা অনুমোদিত হলে সর্বোচ্চ 15 দিন থেকে 90 দিন পর্যন্ত জাপানে অবস্থান করতে পারবেন। তবে এই ভিসার কোন ধরনের কাজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। টুরিস্ট ভিসায় জাপানে গিয়ে কাজ করলে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

আরো পড়ুন ঃ সৌদি আরব ভিসা প্রসেসিং খরচ - ২০২৫

জাপানে ভ্রমণের সময় পর্যাপ্ত অর্থ থাকা ভ্রমণ পরিকল্পনা সঠিকভাবে সাজানো এবং কাগজপত্রের কোন ভুল না থাকা খুবই জরুরী। কারণ জাপানের ভিসা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ডকুমেন্ট ভালো করে যাচাই করে দেখে। ভ্রমণের সময় অবশ্যই একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এই ভিসায় কোন ধরনের আই মূলক কাজ করতে পাবেন না কেবলমাত্র ভ্রমণ, পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করা এবং পর্যটন উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।

জাপান যেতে হলে মেডিকেল রিপোর্ট কেন প্রয়োজন হয়

জাপানে যেতে হলে মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন হয় কারণ এটা নিশ্চিত করে যে আপনি জাপানে প্রবেশের পর কোন সংক্রমণ রোগ যেমন যক্ষা ছড়াবেন না যা জনস্বাস্থ্য ও দেশের নিরাপত্তার জন্য জরুরী। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে আপনি যদি জাপানে কাজ করতে বা পড়াশোনা করতে যান তবে মেডিকেল রিপোর্ট একটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি আপনার জাপানি স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা সুবিধা যোগ্যতা প্রমাণ করে।
সরকারিভাবে-জাপান-যাওয়ার-উপায়



স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে সাধারণত শারীরিক ইউরিন পরীক্ষা, এক্স-রে, রক্ত পরীক্ষা , ভীডিআরএল (যৌন রোগ), এইচআইভি(এইডস এর পরীক্ষা), ম্যালেরিয়া, মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী কিনা ইত্যাদির বিষয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং সাম্প্রতিক সময়ের করোনা টেস্ট করা হয়। দেশের বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মেডিকেল চেকআপ করতে হয়। এ রোগ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনার শরীরে থাকলে আপনি জাপান যেতে পারবেন না।

আইন মেনে জাপান যাওয়ার সুবিধা

আইন মেনে জাপান গেলে সুবিধা গুলো শুধু কাজের ক্ষেত্রেই নয় বরং ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনেও বড় ভূমিকা রাখে। বৈধ ভিসা নিয়ে গেলে আপনার কাজের পরিবেশ অনেক বেশি নিরাপদ হয় এবং নিয়োগকর্তা আপনাকে শ্রম আইনের আওতায় সুরক্ষা দেই। অন্যায়ভাবে বেতন কাটা বা বাড়তি সময় কাজ করিয়ে নেওয়া তো কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। অবৈধভাবে খেলে যে কোন সময় পুলিশ অভিযানে ধরা পড়ে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

জাপান একটি আইনশৃংখল ও শৃঙ্খলাপূর্ণ দেশ। বৈধ ভিসা থাকলে আপনি নির্ভয়ে যেকোন স্থানে ভ্রমণ করতে পারবেন পুলিশের ভয় বা আটক হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাবেন যেমন স্বাস্থ্য বীমা, দুর্ঘটনা বীমা, পেনশন স্কিম ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। আরো একটি বড় সুবিধা হল ভবিষ্যতের পরিবারের সদস্য অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়। সন্তানদের জাপানে পড়াশুনা করারও সুযোগ রয়েছে,

সবশেষে বলতে গেলে আইন মেনে জাপান যাওয়ার মানে নিজের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত এবং মান সম্মানজনকভাবে উন্নত জীবন যাপনের সুযোগ তৈরি করা। আপনি যদি আইন মেনে বা বৈধ উপায়ে জাপান যেতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করবেন। হতে পারে এটা আপনার জন্য পথনিদর্শক। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি আপনার জীবন পরিবর্তন করতে পারেন।

চাকরির জন্য জাপানি কোম্পানির অফার লেটার সংগ্রহ

জাপানি কোম্পানি থেকে চাকরির অফার লেটার সংগ্রহের জন্য প্রথম একটি বিশ্বস্ত উৎস থেকে চাকরির আবেদন করতে হবে এবং নির্বাচিত হওয়ার পর কোম্পানি থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। এই অফার লেটারটি জাপানি ভাষা ও কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজনীয়তা পূরণ এবং যোগ্যতার সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি যা যা পানি ইমিগ্রেশন থেকে ইস্যু করা হয়।


সাধারণত অফার লেটার কাজে ধরন, কর্মসংস্থান, বেতন, কাজের সময়, ছুটি এবং অন্যান্য সুবিধার বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। বৈধ ও সংস্কৃত কোন কোম্পানি থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করলে আপনার ভিসা পাওয়া অসম্ভব কিছু না। তবে প্রতারণার ফাঁদে পড়লে আপনি সব হারাবেন। তাই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন, ওয়েবসাইট এবং পূর্বের কার্যক্রম যাচাই করে নিতে হবে।

জাপানে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়

জাপানে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় তুলনামূলকভাবে সহজ যদি আপনি সঠিক প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনে যোগ্যতা অর্জন করেন। জাপানের সরকার বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সংস্থা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো MEXT Scholarship যা জাপান সরকার সরাসরি প্রদান করে থাকে. এছাড়াও JASSO বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপ ও প্রাইভেট ফাউন্ডেশনেরও স্কলারশিপ রয়েছে।
সরকারি-ভাবে-জাপান-যাওয়ার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত



প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন কোর্স বা ডিগ্রিতে পড়াশোনা করবেন। এরপর সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কলারশিপের শর্তাবলী খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত স্কলারশিপের জন্য ভালো একাডেমিক রেজাল্ট ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বা জাপানি ভাষার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন হয়।MEXT  স্কলারশিপ এর ক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য জাপানি দূতাবাসের সরাসরি আবেদন করতে হয় যেখানে লিখিত পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়।

অবশেষে আপনার স্কলারশিপ অনুমোদিত হলে টিউশন ফি, ভ্রমণ খরচ এবং মাসিক ভাতা পর্যন্ত জাপান সরকার বা প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে. এতে শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে। অর্থাৎ পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে কোন খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এতে শিক্ষার্থীরা পুরো সময় পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী কেরিয়ার করতে পারে।

জাপান ভিসার জন্য ইন্টারভিউর প্রস্তুতি

জাপান ভিসার ইন্টারভিউতে ভালো প্রস্তুতি নিলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার আগে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাজানো রাখুন পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফরম, চাকরির অফার লেটার বা বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত অনুমোদন পত্র ইত্যাদি। এই কাগজগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারে। ইন্টারভিউতে আপনাকে সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট উত্তর দেওয়া জরুরী।

উদাহরণস্বরূপ আপনি কেন জাপান যাচ্ছেন ? বা ভিসা মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফিরবেন কিনা /প্রশ্নের ধৈর্য ধরে উত্তর দিতে হবে। শর্ট ও বাস্তব উত্তর সব সময় বেশি কার্যকর হয়। এছাড়া জাপান ভ্রমণ বা কাজের পরিকল্পনা সংক্রান্ত সম্ভাব্য প্রশ্নের জন্য আগে প্রস্তুতি নিন। যেমন আপনি কোন শহরে থাকবেন কোথায় কাজ করবেন বা পড়াশোনা করবেন ফরজ বহন করবেন কিভাবে ইত্যাদি। এই নিয়ম গুলো ফলো করলে আপনি ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হতে পারেন।

শেষ কথা ঃ সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে সঠিক প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা মেনে চললে যে কোন প্রার্থী নিরাপদ ও বৈধ ভাবে দেশটিতে পৌঁছাতে পারে। এখানে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় ধাপগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে জাপানে পৌঁছানো সম্ভব ও সুবিধাজনক। যেকোনো ব্যক্তি সহজে জাপান যেতে পারে এবং সেখানে সফল জীবন গড়তে পারে।

সরকারিভাবে জাপান যেতে চাইলে আমার এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করলে আপনি সহজ, নিরাপদ এবং বৈধ ভাবে যেতে পারবেন । এই আর্টিকেলে আমি সম্পূর্ণ জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বুঝিয়ে লিখেছি। আশা করবো আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম প্রবাস ভ্রমণ গাইড সম্বন্ধে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েব সাইটটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইদুল আইটি মাস্টার এর নীতিমালা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url