নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

 

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি এই তা আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেরা মার্কেটপ্লেস নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য শুধু একটি প্লাটফর্ম নয় বরং একটি শেখার ও উপার্জনের সুযোগ প্রদান করে ।

নতুন-ফ্রিল্যান্সারদের-জন্য-সেরা-মার্কেটপ্লেস-কোনটি

সঠিক মার্কেটপ্লেস বাছা ই করলে তারা সহজে প্রথম ক্লাইন্ট পেতে পারে, আয় বাড়াতে পারে এবং অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে। এজন্য অবশ্যই নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সেরা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানা উচিত উচিত।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

নতুন ফ্রিল্যান্সার দের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস হলো এমন কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুজে পাওয়া যায় এবং বিশ্ব ব্যাপী ক্লায়েন্টের সাথে সংযুক্ত হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং জগতে যারা নতুন শুরু করেন তাদের সঠিক মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কাজের সুযোগ বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা অর্জন এবং আয়ের পথ তৈরি করে দেয়। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে।

বর্তমানে ফ্রান্সিং এমন একটি ক্ষেত্র  যেখানে দক্ষতা থাকলে আপনি ঘরে বসে বৈশ্বিক ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু নতুনদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করা। কারণ বর্তমান সময়ে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে কিন্তু সবগুলো নতুনদের জন্য উপযোগী নয়। নতুনদের জন্য এমন মার্কেটপ্লেস দরকার যেখানে প্রতিযোগিতামূলক কম, কাজের সুযোগ বেশি এবং সহজ পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।

তাছাড়া স্কিলের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে। নতুনদের জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি মার্কেট প্লেস হলো Fiverr,Upwork,Guru,Freelacer.com,PeoplePerHour ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেস আপনাকে কাজের সুযোগ করে দেই এবং আপনার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ প্লাটফর্ম গুলো নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফরম। মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি গিগ তৈরি করে আপনার পরিষেবা গুলো অফার করতে পারেন।

Fiverr:ফাইবার নতুনদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি গিগ বানিয়ে ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে পারেন। এখানে আপনি ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং অনেক ধরনের সেবা দিতে পারেন।

Upwork: আপওয়ার্ক হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং সিকিওর ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রফেশনাল বায়ারদের উপস্থিতি বেশি যা আপনার কাজের গুণগতমান বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। অত্যন্ত প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের জন্য নিরাপদ এবং বৈশ্বিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় এই প্লাটফর্মে।

Guru: গুরু হল অনেক পুরনো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেস বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে যেমন ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি। দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত এবং বিশ্বস্ত সুপ্রতিষ্ঠিত মার্কেট প্লেস যা একাধিক আনসার ও এজেন্সির জন্য উপযোগী।

Freelancer: ফ্রিল্যান্সার ডটকম খুবই পুরাতন হওয়ার জন্য দিনে দিনে এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এই ওয়েবসাইটে আপনি ক্লায়েন্টের কাজ সময়ে অথবা ঘন্টা ভিত্তিক সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনি যদি ক্লায়েন্টের পছন্দ মত সেবা প্রদান করতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

PeoplePerHour: পিপল পার আওয়ার একটি দ্রুত বর্ধনশিল্প ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে কপিরাইটিং, লোগো ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।

মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে কিন্তু সকল কাজের চাহিদা একরকম নয়। কিছু কাজ রয়েছে যা চাহিদা সব সময় বেশি থাকে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আপনি চাইলে যেকোনো একটি স্কিল শিখে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন।

বর্তমানে এ সকল কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই সেক্টরগুলো বিশ্বব্যাপী ব্যবসার অনলাইন উপস্থিত এবং ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অপরিহার্য যার ফলে এই দক্ষতাগুলোর চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি উপরে উক্ত কাজগুলোর মধ্যে যে কোন একটাতে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যে কোন একটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারলে আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।

বর্তমান বিশ্বে কতগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে

বর্তমান বিশ্বে কতগুলো মার্কেটপ্লেস হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব নয়, কারণ নতুন মার্কেটপ্লেস তৈরি হচ্ছে এবং অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে ধারণা করা হয়েছে যে বর্তমান বিশ্বে হাজারো বেশি অনলাইন ও অফলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে Fiverr,Upwork,Freelancer,PeoplePerHour,Guru,Flipkart,99designs,Toptal,Workana ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

নতুন-ফ্রিল্যান্সারদের-জন্য-সেরা-মার্কেটপ্লেস

উপরে উল্লেখিত মার্কেটপ্লেস গুলোর মত অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে ছিল তাদের জন্য প্রচুর কাজ রয়েছে। মূলত এ মার্কেটপ্লেসগুলো তো কাজ করা একজন ফ্রিল্যান্সারের মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর প্রথম দিকে শুরু করতে আপনাকে প্রথমে একটি স্ট্রং প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনাকে একটি ডিজিটাল জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করতে হবে যেখানে আপনার স্কিল অভিজ্ঞতা এবং প্রিভিয়াস প্রজেক্ট গুলোর অভিজ্ঞতা এড করে দিবেন। এটি আপনার অনেক বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে।

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারবেন তবে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় সেক্টর সম্পর্কে জানেন তাহলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এখন ওয়েবসাইট ছাড়া কোন ব্যবসা কল্পনা করা যায় না। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বেশ কিছু জনপ্রিয় সেক্টর রয়েছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজের চাহিদা অনেক রয়েছে। এর মধ্যে যেকোনো একটিতে আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ইনকাম করা আপনার পক্ষে অনেক সহজ হয়ে যাবে। মার্কেটপ্লেসে এসইও, লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এর প্রচুর কাজ রয়েছে। সেখান থেকে কাজ নিয়ে আপনি ঘরে বসে থেকেই আয় করতে পারবেন।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শেখার যতটা সহজ হয় কাজ পাওয়া ঠিক ততটাই কঠিন হয়। কারণ এক সময় কাজের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল কিন্তু দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক কম থাকায় যারা কিছুটা কাজ শিখেছে এমন ফ্যান ছাড়াও কাজ পেয়ে যেত। কিন্তু বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং ভালোভাবে শেখার পরে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার কাজ পাচ্ছে না। কেননা এখন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং কাজ পাওয়ার সঠিক কৌশল না জানা।

 নতুনদের জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। সফল ফ্রিল্যান্সাররা প্রায় নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটিতে যোগ দিতে এবং তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ করতে হবে। মার্কেট প্লেসে কাজ করার শুরুতেই ভালো সার্ভিস দিতে হবে এবং ক্লায়েন্টদের সময় মত কাজ সরবরাহ করতে হবে। প্রথমদিকে আপনাকে ছোট ছোট কাজ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞ হয়ে গেলে এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করলে কাজ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।

ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি স্বাধীনতাও সম্ভাবনাময় পেশা যেখানে আপনি ইচ্ছেমতো আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। এই পেশায় সফল হতে হলে ধারাবাহিক অধ্যাবসায়ী এবং সঠিক পথ অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। যে কোন সমস্যা হলে অনলাইন কমিউনিটি বা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে সহায়তা নিতে হবে এবং শেখার মনোভাব তৈরি করতে হবে। সময় মত কাজ করা এবং ভালো রিভিউ অর্জন করতে হবে। 

দীর্ঘমেয়াদি কাজ করার জন্য কোন প্লাটফর্ম গুলো সবচেয়ে ভালো

দীর্ঘমেয়াদি কাজ করার জন্য ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, পিপুল পার আওয়ার হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দীর্ঘস্থায়ী। যে প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ক্লায়েন্টরা দীর্ঘমেয়াদি বা নিয়মিত কাজ করে এমন ফ্রিল্যান্সাদের খুঁজেন। তাই এখানে কাজ করলে দীর্ঘমেয়াদে কাজের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘমেয়াদি কাজ করার জন্য এমন কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া দরকার যেখানে ক্লেন্ডার সাধারণত বড় বড় প্রজেক্ট বা দীর্ঘ সময়ের নিবিচ্ছিন্ন কাজ দিতে আগ্রহী থাকে।

উপরে উক্ত প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অনেক ক্লায়েন্ট ফুল টাইম ভার্চুয়াল, অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডেভলপার, ডিজাইনার, কন্টেন রাইটার ইত্যাদি খুঁজে থাকেন। ঘন্টার ভিত্তিক কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে মাছের পর মাস কাজ করার সুযোগ থাকে। এ প্লাটফর্ম গুলোতে অর্জন করতে পারলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। ফাইবারের মতো বড় বড় প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বিশ্বস্ততা অর্জন করলে আপনাকে অগ্রিম পেমেন্ট করবে।

মার্কেটপ্লেসে পেমেন্ট গ্রহণের সবচেয়ে সহজ উপায় 

যারা মার্কেটপ্লেসে কাজ করে কিংবা নতুনরা যারা এ কাজে যুক্ত হচ্ছেন তারা কিভাবে মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করবেন সেই পদ্ধতিটা নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য আমরা এই পদ্ধতি বা নিয়ম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করব। আপনার যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেটি মার্কেটপ্লেস থেকে খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনার মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্ট এর নাম এবং ব্যাংক একাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে।

নতুন-ফ্রিল্যান্সারদের-জন্য-সেরা-মার্কেটপ্লেস-কোনটি -বিস্তারিত-জানুন


যদি মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা তুলতে হয় তাহলে প্রথমে আপনাকে প্রায় ৫ ডলারের মত ইনভেস্ট করতে হবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনার টাকা ব্যাংক একাউন্টে চলে আসবে। এভাবে আপনি যেকোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন তবে অবশ্যই অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং তথ্যগুলো সঠিক হতে হবে এবং যে কোন ব্যাংক একাউন্ট এড করে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম এবং মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট এর নাম মিল থাকতে হবে।

মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার সহজ উপায়

মার্কেটপ্লেসে বায়ারের কাছ থেকে কাজ নিতে চাইলে আপনাকে সঠিকভাবে কমিউনিকেশন করতে হবে। যদি ঠিকঠাক ভাবে কমেন্ট করতে না পারেন তাহলে হঠাৎ করে ক্লায়েন্ট পেলেও পরবর্তীতে দেওয়া ধরে রাখতে পারবেন না। প্রতিদিন একটু করে ইংরেজি শেখার চেষ্টা করতে হবে প্রয়োজনে google ট্রান্সলেট ব্যবহার করতে পারেন। তবে বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে টাইপিং এর কোন নিয়ম নেই এখন সরাসরি ভিডিও কলে আপনাকে বায়ারের সাথে কথা বলতে হবে।

আপনাকে মার্কেটপ্লেসে শুরু করার আগে আপনার একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনার প্রোফাইলটি যেন নির্ভুল, বস্তুনিষ্ঠ হয়। আপনি যদি অন্যের প্রোফাইল থেকে কন্টেন্ট নিয়ে নিজের প্রোফাইলে যুক্ত করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। এজন্য চেষ্টা করবেন নিজেকে কাজ গুলো জানেন সেগুলো সম্পর্কে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রেখে প্রোফাইল তৈরি করতে কারণ যে কাজ পারেন না সে কাজ আপনার প্রোফাইলে দিলে অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাবে।

মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে হলে প্রথমে আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে। কারণ মার্কেটপ্লেসের বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে হয়ে থাকে। আর পশ্চিমা দেশগুলোর অধিকাংশই ভাষা ইংরেজি হয়ে থাকে। ক্লায়েন্টের সাথে সুন্দরভাবে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে। আপনাকে প্রতিদিন ইংরেজি চর্চা করতে হবে। ইংরেজি জানা ছাড়া মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।

কোন কাজ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ

নতুন প্লেয়ারদের জন্য কিছু সহজ কাজ রয়েছে যেগুলো দ্রুত শেখা যায় এবং অভিজ্ঞতা ছাড়াই শুরু করা সম্ভব। তবে সেসব কাজ শিখে আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন না। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে অনেক অভিজ্ঞ ও দক্ষ হতে হবে। অনেক অনলাইন শপ বাই কমার্স সাইটে পণ্যের নাম, মূল্য এবং বিবরণ লিখে আপলোড করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজন হয়। এটি তুলনামূলক সহজ কারণ এদের শুধু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ইনপুট করলেই হয়।

এছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেসিক কাজগুলো করে আপনি অন্য কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। যেমন লোগো বানানো, ব্যানার তৈরি করা ইত্যাদি কাজ খুবই সহজ। অনলাইন টুলস ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে এ ধরনের ডিজাইন করা সম্ভব। এসব কাজ করে খুব বেশি আয় করতে পারবেন না। তবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আপনার খুবই কাজে লাগবে। ধীরে ধীরে ছোট কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে বড় বড় মার্কেটপ্লেসেও কাজ করতে পারবেন।

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য সম্পূর্ণ অনলাইন কোর্স অথবা প্রশিক্ষণ নিতে হবে। মার্কেটপ্লেসে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে আপনি যেকোন স্কিল শিখে কাজ করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। কারণ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়, কিভাবে তাদের মন আকর্ষণ করতে হয় সেটা করতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনি কোন সেক্টরে বেশি দক্ষ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেই সেক্টর অনুযায়ী আপনি যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। হতে পারে সেটা ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। এসব কাজের চাহিদা মার্কেট প্লেসে অনেক রয়েছে।

শেষ কথাঃ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ইতিমধ্যে আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। অনলাইনে উপার্জন করতে হলে প্রথমে আপনাকে যেকোনো একটি সেভ করবে সে নিতে হবে যে সেক্টরে কাজের চাহিদা বেশি এবং প্রতিযোগিতা কম। fiver বা upwork এর মতো মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে। এসব প্লাটফর্মে কাজ করতে হলে আগ্রহ ও ধৈর্য ধরে করতে হবে।

প্রথমদিকে এসব মার্কেটপ্লেসে ছোট ছোট কাজ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে বড় প্রকল্পে এগিয়ে যেতে হবে। তাই নতুনদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস বেছে নেওয়ার সময় ধৈর্য, মনোযোগ এবং নিয়মিত প্রচেষ্টায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস গুলো সম্পর্কে বোঝাতে পেরেছি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইদুল আইটি মাস্টার এর নীতিমালা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url