পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলে প্রথমে বলতে হয় এটি একটি অত্যন্ত উপকারী ভেষজ। পুদিনা পাতার স্বাদ ও ঘ্রাণ যেমন সতেজতা এনে দেয় তেমনি এতে রয়েছে ভিটামিন মিনারেল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট।
পুদিনা পাতায় একটি প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদান হলেও এর সঠিক ব্যবহার ও সীমিত গ্রহণের শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনে। অতিরিক্ত পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়, এসিডিটি কিংবা এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- পুদিনা পাতার পুষ্টি ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমূহ
- পুদিনা পাতার জুস এর উপকারিতা
- পুদিনা পাতার চা তৈরির পদ্ধতি
- মাথা ব্যাথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে পুদিনা পাতা
- ওজন কমাতে পুদিনা পাতার ব্যবহার
- রোগ নিরাময়ের পুদিনা পাতার ব্যবহার
- ত্বকের সমস্যা সমাধানে পুদিনা পাতার উপকারিতা
- পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর(FAQ)
- শেষ কথাঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বললে বোঝা যায় এটি
কেবলমাত্র একটি রান্নার উপাদান নয় বরং আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসার
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাচীনকাল থেকেই পুদিনা পাতার ভেষজ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত
হয়ে আসছে। আমরা অনেকেই পুদিনা পাতার উপকার সম্পর্কে জানি। আজকের এই আর্টিকেলে
আমি পুদিনা পাতার উপকার ও অপকার সম্পর্কে আলোচনা করবো।
উপকারিতাঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। পুদিনা পাতা রয়েছে বিশেষ পুষ্টিগুণ যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা করে। নিয়মিত পুদিনা পাতা খেলে ক্যান্সারের মত মরণব্যাধিক নিরাময়ে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা আমাদের মুখের ব্রণ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়াও সর্দি কাশি কিংবা অ্যাজমা ও কাশির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এর সব থেকে বেশি উপকার হলো বদহজমে সাহায্য করা।
এছাড়া পুদিনা পাতা আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফুলে থাকা ও বদ হজমের মত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে এই পুদিনা পাতার রস। পুদিনা পাতা শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে। পুদিনা পাতা হজম তন্ত্রের পেশি শিথিল করে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যা বদহজম গ্যাস ও পেটে সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যা দূর করে। এই পাতা মানসিক অস্থলিতা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পুদিনা পাতা খেলে সকল সমস্যা সমাধান করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
জাফরান এর উপকারিতা ও ব্যবহারের উপায়
অপকারিতাঃ পুদিনা পাতার ক্ষতিকারক কিছু দিক রয়েছে। তবে এর অপকারের চেয়ে
উপকার বেশি। পুদিনা পাতায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে
থাকে। এ ছাড়া ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়, এলার্জির হতে পারে এবং
বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট সমস্যা এবং মুখে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। পুদিনা পাতা
অতিরক্ত সেবনের ফলে বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা এবং মুখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
এটি শরীরে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী হরমোন টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমিয়ে দেয়।
তাছাড়া পুদিনা পাতা কোন শিশুকে খাওয়ালে শিশুর শ্বাসকষ্ট অথবা গলা জ্বালা হতে
পারে। পুদিনা পাতা খালি যেমন মূত্রবর্ধন হিসেবে কাজ করে তেমনি অতিরিক্ত পুদিনা
পাওয়ার ফলে মুত্রবধন জালা ভাব এবং ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। যাদের শ্বাসকষ্টের
সমস্যা রয়েছে তারা পুদিনা পাতা অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে শ্বাসকষ্ট যেতে পারে। এর
অতিরক্ত ব্যবহারে রক্তচাপ অনেক কমে যায় যার ফলে মাথা ঘোরা ও শরীর দুর্বলতা
সৃষ্টি করে।
পুদিনা পাতার পুষ্টি ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমূহ
পুদিনা পাতায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি উপকরণ
থাকে। ১০০ গ্রাম পুদিনা পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে তা নিচে উল্লেখ করা
হলো ঃ
- ভিটামিন এ: ৮১%
- ভিটামিন বি: ০.১৩ %
- ভিটামিন সি: ৫২%
- ক্যালসিয়াম:২০%
- ম্যাগনেসিয়াম:২০%
- জিংক: ৯%
- পটাশিয়াম:৯%
- ক্যালরি:৫০ জুল
- প্রোটিন:৩.৮%
- ফাইবার:৬.৮%
- ফসফরাস:৭%
- আয়রন:৪৮%
পুদিনা পাতার জুসের উপকারিতা
পুদিনা গাছের পাতা গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পুদিনা পাতার জুস খাবার হজম করতে এবং পেটের খিচুনি প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে। তাছাড়া পেট ব্যথা দূর করার জন্য পুদিনা পাতার জুস বিশেষ উপকারী।
বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার ও ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যাদের অ্যালার্জি রয়েছে পুদিনা পাতার জুস খেলে এলার্জি দূর হয়ে যায়। নিয়মিত
খেলে মুখে উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ দূর করে।
তাছাড়া পুদিনা পাতার জুস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুদিনা পাতায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে, যেমন ভিটামিন এ,
ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি থাকে। এই ভিটামিন গুলো উপস্থিত
থাকার কারণে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ঠান্ডা ও কাশিতেও পুদিনা
পাতা জুস উপকারী। এই জুস ত্বকের শীতল করে এবং শরীরকে সতেজ করে তোলো।
চুলের যত্নে পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা
পুদিনা পাতায় অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত পুদিনা পাতা চুল ব্যবহার করে চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে
থাকে। অনেক মানুষের অকালে চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। এই সমস্যার
সমাধানের জন্য পুদিনা পাতা পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে দিতে হবে। 10 থেকে 15 মিনিট
পর ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলের উজ্জ্বলতা
বাড়বে এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে চুলের খুকসি দূর করে। এই পাতা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মাথায় নতুন চুল গজাতে শুরু করে। এমনকি মাথার তেল দিলে ভাব দূর হবে পুদিনা পাতার পেস্ট ব্যবহার করে। তাই স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুল এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত পুদিনা পাতার টেস্ট পারেন। এতে আপনার মাথার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সহজে সমাধান হয়ে যাবে। এটি হলো একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা।
পুদিনা পাতার চা তৈরির পদ্ধতি
পুদিনা পাতার চা অনেকেই আমরা পছন্দ করি এবং অনেকেই খেয়ে থাকি কিন্তু অনেকেই
জানিনা কিভাবে তৈরি করতে হয়। আমরা এই আর্টিকেলে কিভাবে পুদিনা পাতা চা তৈরি করতে
হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব। যদি আপনারা পুদিনা পাতা চা খেতে ভালোবেসে থাকেন
তাহলে অবশ্য এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে করবেন। তবে চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে
পুদিনা পাতা তৈরি করতে হয়।
পুদিনা পাতা চা বানার জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু পুদিনা পাতা প্রয়োজনমতো পানি এবং অল্প পরিমাণে চা পাতা নিতে হবে। এরপর একটা পাতিল চুলায় বসিয়ে প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে এবং পুদিনা পাতা দিতে হবে। এরপর পাঁচ থেকে সাত মিনিট পানি ফুটাতে হবে। এরপর অল্প পরিমাণে চা পাতা দিয়ে হালকা করে নেড়ে নিতে হবে। এরপর একটি ছাঁকনি দিয়ে পুদিনা পাতার মিশ্রণটিকে ছেঁকে নিতে হবে। এবার একটি কাপে নিয়ে নিতে হবে। এবার সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেল পুদিনা পাতার চা।
মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে পুদিনা পাতা
মাথাব্যথা এমন একটি সাধারন সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রভাবিত
করে। মানসিক চাপ, পানি শূন্যতা, ঘুমের অভাব বা অন্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে
মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যদিও কিছু ওষুধ দ্রুত প্রসঙ্গে তবে অনেকেই
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এ রাতে প্রাকৃতিক প্রতিকার খোঁজে। সবচেয়ে সহজলভ্য ও
জনপ্রিয় অর্জনকারী সমাধান হলো পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথা
কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুব সহজেই নিরাময় হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ
সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়া মাইগ্রেন হলো তীব্র মাথা ব্যাথা যার সাথে বমি ভাব ও আলোর প্রতি
সংবেদনশীলতা থাকে। কিছু প্রমাণ থেকে জানা যায় পুদিনা পাতার তেল মাইগ্রেন
পরিচালনা সহায়তা করতে পারে। এই পুদিনা পাতা তেল শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ
করলে মাইগ্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা হ্রাস পায়। এই পুদিনা পাতা
ব্যবহারে মাইগ্রেন ভুক্তভোগীরা এর পানিতে চুমুক দিলে বেশ উপকার পাবেন। আপনি যদি
কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার সমাধান খুজে থাকেন
তাহলে পুদিনা পাতা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান হবে।
ওজন কমাতে পুদিনা পাতার ব্যবহার
ওজন কমাতে পুদিনা পাতা বেশ উপকারী। বিশেষ করে পুদিনা পাতার চা ওজন কমাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে আমি পুদিনা পাতার চা বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। পুদিনা পাতা চা খাওয়ার ফলে আপনার ওজন দ্রুত কমবে এবং আপনাকে স্বাস্থ্যবান করে তুলবে। পুদিনা পাতার চা খাওয়ার ফলে শরীর সতেজ থাকে। তাছাড়াও পুদিনা পাতা কুচি কুচি করে কেটে পাঁচ থেকে দশ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেকে নিতে হবে।
এরপর পানি ফ্রিজে রাখতে হবে ১২ ঘন্টা বা 24 ঘন্টা পর সেই পানি বের করে পান করতে হবে। আপনি যদি এই পানি নিয়মিত পান করেন তাহলে আপনার ওজন খুব দ্রুতই কমে যাবে। এছাড়াও যদি এ পানির সাথে লেবুর রস এবং শসা মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে ভুড়ি তো কমবেই পাশাপাশি আপনার শরীরকে সতেজ রাখবে। এই পানি যদি আপনি মধুর সাথে পান করেন তাহলে শরীরে অন্যরকম একটা এনার্জি কাজ করবে। সকালে এবং রাতে দুই বেলা পান করলেই চোখের পলকে আপনার ওজন কমে যাবে।
রোগ নিরাময়ে পুদিনা পাতার ব্যবহার
রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার কিছু ব্যবহার রয়েছে যা আমাদের জন্য বিশেষ
উপকারী। পুদিনা পাতা ঠান্ডা জাতীয় গুণ শরীরকে প্রশান্ত রাখে এবং অনেক
দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার উপসম ঘটায়। পুদিনা পাতার রস যকৃত কিডনির
সুস্থতা সাহায্য করে। কিশোরী থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং প্রসবের মাধ্যমে
অতিরক্ত লবণ ও বর্জ্য দূর করে দেয়। সাহায্য করে। একইভাবে কর্মদক্ষতা বাড়ায়
পুদিনা পাতার নিয়মিত পান করা উপকারী।
এছাড়া ত্বকের এলার্জি ও পোকামাকড়ের ব্যথা ও যারা প্রশমনের পুদিনা পাতা কার্যকর।
কোন ক্ষতস্থানে পুদিনা পাতার রস লাগালে জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব দূর হয়ে
যায়। মাসিকের ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে পুদিনা পাতা কার্যকর বলে গবেষণায়
উল্লেখ করা গেছে। এটি জরায়ুর বেশি শিথিল করে এবং শরীরকে আরাম দেয়। তাছাড়া
চোখের ক্লান্তি দূর করেও পুদিনা পাতা সাহায্য করে ঠান্ডা পানিতে ভেজানো পুদিনা
পাতার চোখের উপর রাখলে চোখের লাল ভাবো ক্লান্তি কমে যায়।
ত্বকের সমস্যা সমাধানে পুদিনা পাতার উপকারিতা
অনেকে রয়েছে যারা ত্বকের সমস্যায় ভুগছে। যেমন ব্রণ, ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা
প্রায় সবারই আছে। এমন ক্ষেত্রে আপনারা সাহায্য করতে পারে হাতে থাকা পুদিনা পাতা।
এই ভেষজ সাহায্য নিয়ে আপনি খুব সহজে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
পুদিনা পাতায় রয়েছে ছ্যারিসেলিক এসিড এবং ভিটামিন এ যা ত্বককে সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে। তাকে ধরন তলাক্ত হলে ব্রণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য
পুদিনা পাতার ব্যবহার করে সমস্যা দূর করতে পারেন।
পুদিনা পাতায় থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ফাঙ্গাস রয়েছে। এসব থাকার ফলে
গ্রহণ দূর করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রদাহ দূর করে থাকে। তাছাড়া আপনি পুদিনা পাতার
পেস্ট ব্যবহার করে ব্রণের উপরে লাগিয়ে দিতে পারেন। নিয়মিত পুদিনা পাতার পেস্ট
ব্যবহার করলে আপনার ব্রণের সব দাগ উঠে যাবে। ফলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই কোমল হয়ে
ওঠে। নাপাতা ব্যবহারের ফলে ত্বকের ছিদ্র থেকে ময়লা বের হয়ে যায়। এতে ত্বক আরো
সতেজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে।
পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর(FAQ)
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার প্রধান উপকারিতা কি?
উত্তরঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার প্রধান উপকারিতা হলো হজমে সাহায্য করে, গ্যাস ও
এসিডিটি কমায় এবং সাচ তাজা রাখে।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা কি কি অপকারিতা রয়েছে?
উত্তরঃ অতিরিক্ত পুদিনা পাতা খেলে বুক জ্বালা, গ্যাস্ট্রিক, এলার্জি কিংবা লো
ব্লাড সুগারের মত সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্নঃ গর্ভবতী নারীরা কি পুদিনা পাতা খেতে পারবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, কিন্তু সামান্য পরিমাণ খেতে হবে অতিরক্ত খেলে এটি হরমোনের
ভারসাম্যর প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতার চা খেলে কি উপকার হয়?
উত্তরঃ পুদিনা পাতার চা হজম শক্তি বাড়ায়, সর্দি কাশি ও মাথা ব্যথা কমায়,
মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে সাজিয়ে রাখে।
শেষ কথাঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। এই মেসেজটি একদিকে যেমন শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ সহায়ক তেমনি
অতিরক্ত সেবনের ফলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই পাতা হজমে সাহায্য করে,
শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশি উপশমের কার্যকর। তাছাড়া মাথাব্যথা ও মানসিক চাপ কমাতে
উপকারী এবং মুখের যত্নে ব্যবহার করা যায়।
কিন্তু মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত পুদিনা পাতা খেলে রক্তচাপ, এলার্জি কিংবা ওষুধের
কার্যকারিতার প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য সঠিক পরিমাণে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এটি
গ্রহণ করলে পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে কাজ করবে। আর অসচেতন ভাবে
অতিরক্ত ব্যবহার করলে শরীরে অস্বস্তি ও ক্ষতির কারণ হতে পারে। আর শিশু কিংবা
গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
ইদুল আইটি মাস্টার এর নীতিমালা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url