তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ ও হোমিও থেরাপি চিকিৎসায় তুলশিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কিছু ক্ষেত্রে তুলসী পাতার অতিরক্ত ব্যবহারে বিভিন্ন রকমের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে। তবে তুলসী পাতার অপকারের চেয়ে উপকার বেশি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা তুলসী পাতার উপকার ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- মধু ও তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- কাশি নিরাময়ের তুলসী পাতার ব্যবহার
- ডাইবেটিকস নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতার ব্যবহার
- তুলসী পাতা কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়
- খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তুলসী পাতার ব্যবহার
- তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর (FAQ)
- শেষ কথাঃ তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে জানবো। আমরা প্রায় সকলেই তুলসী পাতা কি। আবার অনেকেই জানেন না তুলসী পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বা কি কি কাজে লাগে। মানুষ উৎসাহের সাথে তুলসী গাছ লাগান তবে অনেকেই তার ওষুধের গুনাগুন সম্পর্কে জানে না. তুলসী পাতা ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে এগুলো না জানলে আপনার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
উপকারিতাঃ তুলসী পাতা একটি প্রাচীন উদ্ভিদ। তুলসী পাতার ব্যবহার স্বাস্থ্য
উন্নতির জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত। তুলসী পাতা স্বাস্থ্য
উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরকে শক্তিশালী করে এবং এর
পাতার রস হজম শক্তি বাড়ায় এতে থাকা অ্যান্ড্রিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী থাকার কারণে
এটি ত্বককে সুস্থ রাখে। এছাড়াও তুলসী পাতা রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য
করে। এটি শরীরকে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যেমন ঠান্ডা ও কাশি,
জ্বর, ইনফেকশন ইত্যাদি প্রতিরোধ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অপকারিতাঃ তুলসী পাতা স্বাস্থ্যকর বলে পরিচিত কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এর
অপকারিতা দেখা যায়। অতিরক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
যেমন রক্তচাপ কমিয়ে নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, রক্তে সরকার আর
মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকি বাড়ায় আবার অতিরক্ত ব্যবহারের ফলে
প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। তুলসী পাতা খাওয়ার সময় অবশ্যই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
মধু ও তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুনাগুন. মধু তুলসী পাতার রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া মধু তুলসী পাতা একটি চমৎকার ঘরোয়া
উপাদান যা কাশি কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তুলসী পাতা ও মধুর
মিশ্রণ স্বাসতন্ত্রের সমস্যা দূর করে। এছাড়াও তুলসী ও মধুতে রয়েছে
অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এটিতো আপনার প্রশংসা করে এবং এলার্জি কমায়। তুলসী
পাতা ও মধুর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও ভিটামিন যা শরীরে রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তুলসী ও মধু ঠান্ডা থেকে আমাদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে, এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের
সংক্রমণ থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে। মধু ও তুলসী পাতা সাধারণত আমাদের শরীরের
কোলেস্টোরের মাত্রা কমিয়ে এবং শরীরের রক্তে সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে
দেয়। শরীরের রক্ত সঞ্চালনের ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এই
মিশ্রণটি অকালবার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং
ভিটামিন যে আমাদের শরীরকে অকালবার্ধক্য হত থেকে বাঁচিয়ে রেখে।
তাছাড়া তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে কিডনির পাথর দূর হয়। যদি নিয়মিত তুলসী
পাতা ও মধু খাওয়া হয় তাহলে কিডনিতে যে বিষাক্ত পদার্থ থাকে সেই বিষাক্ত
পদার্থগুলোকে সরি আমাদের সুরক্ষিত রাখে। এটি যেহেতু সর্ব রোগের ওষুধ হিসেবে
বিভিন্ন হাজার বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই আপনি যদি চান তাহলে কোন মধু ও
তুলসী পাতা সেবন করতে পারেন। যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য
করবে।
তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
শিশু থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই কাশি হলে তুলসী পাতার রস
খেলে ভালো হয়। একটি ওষুধে গাছ। মধুর সাথে তুলসী পাতার রস খেলে কাশি ভালো হয়।
সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতার রস আদা চা ফুটিয়ে খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
সব ধরনের কাজের ক্ষেত্রে যে তুলসী পাতা কাজ করবে তা নয়। অল্প কাশিতে যদি
আপনি তুলসী পাতা নিয়ম অনুযায়ী খান তাহলে ঠিক কাজ করবে।
তুলসী পাতা খেলে যে শুধু কাশি দূর হয় তা নাই এতে মুখের রুচি বাড়ে হজম শক্তিতে
সাহায্য করে। ।তুলসী পাতার রস কিভাবে খাবেন তা অনেকের কাছে অজানা। তবে চলেন জেনে
নিয় কিভাবে খাবেন। একটি বা দুটি তুলসী পাতা নিন। তুলসী পাতার সাথে দুই চামচ
পরিমাণ মধু এবং একটু লং পেপার আদা চিমটি কালো গোল মরিচ কিছু একসাথে মিশিয়ে নিলে
সেখান থেকে একটু ভালো রস বের হয়। এভাবে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এই রসটি দিনে দুই-তিন বার করে এক চামচ পরিমাণ খাবেন। এই উপাদানগুলো অত্যন্ত গরম
প্রকৃতির হয় তাই দুই সপ্তাহ পর খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তুলসী পাতার রস
খাওয়ার পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর হালকা গরম পানি খাওয়া উচিত। চার ধরনের তুলসী পাতা
পাওয়া যায় এই চার ধরনের তুলসী পাতার নাম হচ্ছে বাবুই তুলসী, রাম
তুলসী, কৃষ্ণ তুলসী এবং সে তো তুলসী সব পাতাগুলোই উপকারিত হবে।
কাসি নিরাময় তুলসী পাতার ব্যবহার
তুলসী পাতার রসে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা. যেমন সর্দি, কাশি,
ফুসফুসের প্রদাহ জনিত রোগ ইত্যাদি। আমরা অনেকেই জানি তুলসী পাতা একটি ঔষধি
গাছ। এই গাছের পাতা , শেকড়, বাকল, বীজ ফুল সব কিছুই ব্যবহার করা যায় ।
সর্দি,-কাশি, গলা ব্যথা বা ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে তুলসী পাতার
রস খেলে এসব রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তবে তুলসী পাতার রস সঠিক নিয়মে খেলে
ভালো উপকার পাওয়া যায়। তবে চলুন জেনে নেই কিভাবে তুলসী পাতার রস খাবেন।
কাশি নিরাময়ে বিভিন্নভাবে তুলসী পাতার রস খাওয়া যায়. প্রথমে আপনাকে এক কাপ
পানিতে ছয় থেকে সাতটি তুলসী পাতা, আদা কুচি, লবঙ্গ মিশিয়ে গরম পানিতে ফুটিয়ে
খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি আপনি গাছ থেকে তুলে সরাসরি চিবিয়ে খেতে
পারেন তাহলে সর্দি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও শিশুদের সর্দি কাশি, জোয়ার ইত্যাদি
হলে তুলসী পাতার রসের সাথে খাওয়াতে পারেন। মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি
কার্যকর হয়।
তুলসী গাছ থেকে সংগ্রহ করা বীজ গুড়া করে বছরের পর বছর সংগ্রহ করা যায়। এই শুকনো
গুঁড়ো কাশি ভালো করতে কার্যকরী। দীর্ঘদিন হলে বিভিন্ন ওষুধ খেয়েও যাদের কাশি
থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তারা তুলসী গাছের বীর সংরক্ষণ করে রাখুন। দুই গ্লাস
পানিতে এই বীজ গুঁড়ো, দারুচিনি, লবঙ্গ গুড়া জাল দিয়ে অর্ধেক হয়ে
আসলে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতার ব্যবহার
বর্তমান বিশ্বে অনেক মানুষই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিস রোগের কোন সুনিদৃষ্ট নিরাময় আবিষ্কার হয়নি। এ রোগের জন্য নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়। শুধু ইনসুলিন নয় পাশাপাশি খাদ্য অভ্যাস, শরীরচর্চা এবং ভদ্রতা মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওষুধ, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা ও ইনসুলিনের পাশাপাশি ঘরোয়া ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে যা সম্পূর্ণ কাজে আসবে।
আরো পড়ুনঃ জাফরান এর উপকারিতা ও ব্যবহারের উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া উপায় হলো তুলসী। এই তুলসীদের রয়েছে প্যানিক্রিয়াস বেটা যা সেলের কার্যক্ষরণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ইনসুলিন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। এছাড়া তুলসীপাতা রক্তের শর্করা স্তর সঠিক রাখে খারাপ কোলেস্টরের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে usional থাকে যা রক্তচাপ বাংলাদেশ সাহায্য করে।
তুলসী পাতা কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়
তুলসী পাতা বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন সর্দি, কাশ, এজমা এবং বক্রাইটিসের মতো
স্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজম শক্তি উন্নত,
স্ট্রেস কমানো, হাটের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি
প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফরমেটির সম্পন্ন একটিভেস হল যা চর্মরোগ
নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন কাঁচা তুলসী পাতা খেলে হজম শক্তি বাড়ে।
তাছাড়া তুলসী পাতা দুবরা ঘাসের ডগার সাথে পেস্ট করে ত্বকে লাগালে চর্মরোগ ভালো
হয়ে যায়। তুলসী পাতার গরম পানিতে সেদ্ধ করে গড়গড়া করলে মুখের ও গলার জীবাণু
মরে যাই এবং মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়। শিশুর সাধারন রোগ যেমন বমি, ডায়রিয়া এবং
জ্বরের চিকিৎসায় তুলসীপাতার রস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও তুলসী পাতা মানুষের
মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উপকারী। তুলসী পাতায় থাকা এডাপটএজেন মাথা ব্যাথা
উপশম করতে সাহায্য করে।
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী গুনাগুন যেগুলো সম্পর্কে আমরা প্রায়
সকলেই জেনে থাকি। তুলসী পাতা সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে প্রতিটি মানুষের
স্বাস্থ্যের উপকার হয়। এছাড়াও সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং পেটের সমস্যা দূর হয়। সকালে খালি পেটে
তুলসী তুলসী পাতা খেলে প্রদাহ বিষন্নতা এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের
বিরুদ্ধে শরীর যুদ্ধে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
তুলসী হজমের উন্নতি করে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলীর
কারণে শরীরকে স্বাস্থ্যকর বজায় রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে তুলসী
পাতার চা খেলে শরীর সজীব ও সতেজ থাকে। তুলসী পাতার রস গলা ব্যথা থেকে শুরু
করে পেটব্যথা পর্যন্ত সমস্যা কমাতে পারে। এছাড়াও শিশুদের সর্দি কাশি এবং গলা
ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য তুলসী পাতা এবং মধু খাওয়ালে খুব সহজেই তার
প্রতিকার পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তুলসী পাতার ব্যবহার
তুলসী পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে
বেশি কার্যকর হয়। নিয়মিত ব্যবহার শরীরকে দূষণ, জীবাণু ও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে
শুরু হবে। এমনকি ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা জড়িত রোগ প্রতিরোধ তুলসী পাতা
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই দৈনন্দিন জীবনে তুলসী পাতা খাদ্যভ্যাসএ
অন্তর্ভুক্ত করা আপনার স্বাস্থ্য কেয়ার ও শক্তিশালী করতে পারে। যারা তুলসী
পাতার চা পান করলে সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
তুলসী পাতার চা বিশেষভাবে উপকারী। তুলসী পাতা, আদা ও দারুচিনি একসঙ্গে ফুটিয়ে চা
তৈরি করলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে, ফ্লু জার কিংবা
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
তুলসী পাতার রস সামান্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। তুলসী পাতা
শরীরের মানসিক চাপ কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় রাখে। তাই প্রাকৃতিকভাবে
শরীরকে সুস্থ রাখতে তুলসী পাতার খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ তুলসী পাতা খাওয়ার কি কি উপকার রয়েছে?
উত্তরঃ তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, ক্যান্সার প্রতিরোধ,
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগ ক্ষমতা প্রতিরোধ ইত্যাদি ভালো হয়।
প্রশ্নঃ তুলসী পাতা কিভাবে খেতে হয়?
উত্তরঃ তুলসী পাতা সরাসরি চিবিয়ে, চা বানিয়ে অথবা রস করে খাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটি তুলসী পাতা খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি তুলসী পাতা খাওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ তুলসী পাতা খেলে কি ওজন কমে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, খালি পেটে তুলসী পাতার রস খেলে ওজন কমে।
প্রশ্নঃ তুলসী পাতা কখন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ তুলসী পাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত।
শেষ পাতাঃ তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমি এই আর্টিকেলে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। তুলসী পাতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি ভেষজ। আমরা যারা
শহরে থাকি আমাদের উচিত বাসার ছাদে কিংবা বারান্দায় টবে একটা তুলসি গাছ
লাগিয়ে রাখা যাতে শরীর অসুস্থ হলে ঘরোয়া উপায়ে তার প্রতিকার করতে পারি।
নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে আপনি আপনার ফ্যামিলিকে সুস্থ রাখতে পারবেন।
তাই সুস্থ জীবন যাপন ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে তুলসী পাতা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এজন্য পরিমাণ অনুযায়ী যতটুকু দরকার ততটুকু খাবে। আমাদের এই ওয়েবসাইটে লাইফস্টাইল বা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পর্কে আর্টিকেল লেখা হয়। আর কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
ইদুল আইটি মাস্টার এর নীতিমালা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url