কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
কানাডা ভিসা ফ্রি ফ্রম বাংলাদেশ কানাডা যাওয়ার জন্য ফর্ম আবেদন করার সকল নিয়ম সম্পর্কে জানবো। আপনি যদি ভ্রমণের জন্য অথবা আপনার কর্মের জন্য কানাড়া যেতে চান তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার জন্য যে সকল কাজ করতে হবে।
সে সকল সম্পর্কে এই আর্টিকেলের জানবো। এর জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। অবশ্যই বৈধ ভিসা এজেন্সির কাছ থেকে আপনার আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। কেননা বাংলাদেশের অনেক স্ট্যামার আছে যারা ভিসার নামে প্রতারণা করে থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
- কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
- কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
- কানাডা ভিসা প্রসেসিং খরচ
- কানাডা যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- কানাডা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
- কানাডায় সর্বনিম্ন বেতন কত
- কানাডা ভিসা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর (FAQ)
- শেষ মন্তব্যঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ হল একটি নির্দিষ্ট খরচ তা বাংলাদেশী আবেদনকারী ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করার জন্য জমা দিতে হয়। বর্তমানে কানাডা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য। উন্নত জীবনযাত্রা বিশ্বমানের শিক্ষা এবং নিরাপদ ভবিষ্যদের আশায় প্রতিবাদের বাংলাদেশী কানাডায় যেতে চাই। তবে এই স্বপ্ন পূরণ প্রথম ভিসা আবেদন ও প্রাসঙ্গিক ফি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা।
কানাডায় বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী একজন বাংলাদেশী নাগরিককে কত টাকা
ফি দিতে হয় সেটা নির্ভর করে তার ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী। এই নির্ভর করে আপনি
কোন ভিসার জন্য আবেদন করছেন যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা। পাশাপাশি অনেক সময় বায়োমেট্রিক ফি, মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স ও অন্যান্য সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নতুন অভিবাসীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো
এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম। প্রতিবছর হাজার হাজার অভিবাসী এক্সপ্রেস এন্ট্রির
মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যাওয়ার
সহজ প্রক্রিয়া হলো স্টুডেন্ট ভিসা। এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।
তাহলে খুব সহজে আপনি কানাডায় যেতে পারবেন।
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। আপনার এ কানাডা
ভিসা আবেদনের আগে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কি কারনে কা যেতে যাচ্ছেন বা কোন
পেশায় কানাডায় যেতে চাচ্ছেন। যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। দেশের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন সেটি
আগে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন ভিসায় যেতে চান।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা
লাগবে। কেননা আপনি সেখানে যেতে চাচ্ছেন পড়ালেখার জন্য। বলতে আমরা অনেকেই বুঝে
গেছি যে বিভিন্ন কাজের জন্য আমরা বিদেশ যাই সেটাকে ওয়ার্ক ভিসা বলে। আপনি
যদি কোন একটি কাজের জন্য কাঁদাতে যেতে চান তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক ভিসা আবেদন করতে
হবে। টুরিস্ট ভিসা বলতে মূলত ভ্রমণের জন্য আমরা যাই।
যারা কিছুদিন ভ্রমণের জন্য অন্য দেশে যেতে যায় সে সকল বিষয়কে বলা হয় পুরুষ
ভিসা। আমরা টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কিছু দিনের জন্য অন্য দেশের ভ্রমণ করে আসতে
পারি। যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনাকে
এডমিশন দিবে সেখানে ভর্তি হয়ে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হবে। আর যদি ভ্রমণের জন্য যান
তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে অর্থাৎ আপনার ব্যাংক
ব্যালেন্স থাকা লাগবে।
এসব ভিসার আবেদন করার জন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে বা অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন
করতে পারেন। অনলাইনে আবেদনের জন্য আপনাকে
(IRCC) এই ওয়েবসাইটের ভেতরে থেকে আপনি খুব সহজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আপনার
সম্পন্ন হওয়ার জন্য। যদি আপনি আবেদন করতে সমস্যা হয় কোন জায়গা বা অভিজ্ঞদের
পরামর্শ নিয়ে আবেদন বিবরণ করতে পারেন। তবে আপনি কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
থেকে পেয়ে যাবেন।
কানাডা ভিসা প্রসেসিং খরচ কত
উত্তর আমেরিকার উত্তর অংশে অবস্থিত একটি দেশ হলো কানাডা। এদেশের অর্থনীতি অনেকটাই
উন্নত। এই কানাডা বহুমুখী সংস্কৃতি এবং উচ্চমানের জীবনযাত্রার কারণে অনেকেই এ
দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরি করে রাখছে। আমাদের মধ্যে কেউ কাজের উদ্দেশ্যে কেউ বা
ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আবার কেউ উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তাই
ভিসা অনুযায়ী কানাডার খরচ বিভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ভিসা প্রসেসিং খরচ
ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে।
কানাডা যেতে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে। আপনার
ব্যাংক একাউন্টে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা থাকতে হবে। বেশিরভাগ স্টুডেন্টরা কানাড়া
যেতে বেশি আগ্রহী প্রকাশ করে কারণ তারা উচ্চশিক্ষা ও উন্নত শিক্ষার জন্য কানাডায়
যেতে আগ্রহী হয়। স্টুডেন্টদের জন্য কানাড়া খরচ পড়বে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। এবং
যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে খরচ পড়বে ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। তবে এটা
আনুমানিক ধারণা করা যায় সঠিক বলা যায় না।
কানাডা যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে
থাকে. আগ্রহীদের যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। তারপর ভিসা ক্যাটাগরির অনুযায়ী
কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। কানাড়া যেতে হলে অন্যান্য দেশের মতো কিছু প্রয়োজনে
ডকুমেন্ট ও কাগজপত্র লাগে। তবে চলুন জেনে নিই কানাডা যেতে কি কি কাগজপত্র
লাগেঃ
- বৈধ পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
- ট্রাভেল রেকর্ড
কানাডা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
কানাডা যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা প্রচলিত আছে। তবে বাংলাদেশ থেকে কানাডা
যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা সবচেয়ে বেশি
জনপ্রিয়। এছাড়া কৃষি ভিসা ও বিশেষ ধরনের ব্যবসায়িক ভিসাও কিছু ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য। কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে উচ্চমানের জীবনযাত্রা, নিরাপদ পরিবেশ
এবং বিশ্বমানের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে প্রতিবছর বা হাজার হাজার
মানুষ এ উন্নত দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস, পড়াশোনা, কাজ বা ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদন
করে থাকে।
কানাডা ভিসা আবেদনের জন্য Canada.ca ওয়েবসাইটের লগইন করে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে, ভিসা ফি ও বায়োমেট্রিক পরিশোধ করতে হবে এবং ভিসারকেন্দ্রে বায়োমেট্রিক ডেটা জমা দিতে হবে এরপর আবেদন প্রক্রিয়াকরনের পর পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। অনলাইনে আপনার আবেদনের অবস্থা পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে কিনা।
কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
কানাডা বিদেশি কর্মীদের জন্য সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এ দেশে বিদেশী শ্রমিকদের
বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কানাডা ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে অবশ্যই কানাডা কোন চাহিদা বেশি তা জানতে হবে ।
বর্তমানে কানাডায় কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, প্লাম্বার, ফুড ডেলিভারি সার্ভিস,
ক্লিনার, কৃষি শ্রমিক, হোটেল কর্মী, ইত্যাদি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরব ভিসা প্রসেসিং খরচ - ২০২৫ বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি যেকোনো একটি কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজের
পারিশ্রমিক পাবেন। কানাডা অর্থনীতি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে বিভিন্ন
খাতে দক্ষ অল্প শিক্ষিতদের প্রবাসী প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে। আপনি কোন
শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কোন কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেই দেশে খুব সহজেই যেতে
পারবেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই প্রতারণা শিকার হয়ে
থাকে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দলের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে।
এজন্য কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশি সম্পর্কে জানতে হবে। বাংলাদেশ
থেকে সরকারিভাবে কানাড়া যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সি
কিংবা নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করে স্বপ্নের দেশ কানাডায় পাড়ি জমাতে পারবেন।
কানাডা ওয়ার পারমিট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য জব অফার লেটার প্রয়োজন। বৈধ কাজের
অফার পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কানাডার চাকরি খুঁজতে হবে।
আবেদনকারীর কোম্পানির অনলাইনে সাক্ষাৎকার নিয়ে চূড়ান্ত নির্বাচিত করে থাকে।
অনলাইনে চাকরি খুঁজতে LMIA লিখে সার্চ দিলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সামনে চলে আসবে।
একাউন্ট খুলে জবের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
জব অফার লেটার পাওয়ার পরে কানা সরকারের কাছ থেকে ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে আবেদন করতে পারবেন। তবে আগ্রহিদের আগে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আবেদন ফরম সংগ্রহ করে অনলাইনে কানাডা ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনি চাইলে ঝামেলা এড়াতে বিশ্বস্ত এজেন্সির শরণাপন্ন হতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে উন্নত দেশে যেতে পারবেন। যেমন কৃষি ভিসা, শ্রমিক ভিসা, ওয়ার ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি। বর্তমানে টুরিস্ট ভিসায় কানাড়া যেতে ৪ লাখ টাকা থেকে 5 লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য অবশ্যই আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট খারাপ প্রয়োজন। আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট না থাকলে আপনি কখনো কানাডায় যেতে পারবেন না।
সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে প্রায় ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগে। নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করলে কানাডা যাওয়ার খরচ কম হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে কানাডা ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসা খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে। কানাডা যাওয়ার অফিসিয়াল ভিসা খরচ আরো কম হয়ে থাকে।
কানাডায় সর্বনিম্ন বেতন কত
কানাড়া পৃথিবীর অন্যতম একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। এ দেশে বিভিন্ন সেক্টরে
বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি
হয়ে থাকে। কানাডা বর্তমান কাজের বেতন প্রায় তিন থেকে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত
হয়ে থাকে। কানাডা কাজের বেতন কাজের ধরন ও দক্ষতা অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে।
এদেশে কাজের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এদেশে
সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়
বর্তমান কানাডার নাগরিকের কাজের গড় মাসিক বেতন ৫৪০৪ মার্কিন ডলার হয়ে থাকে।
কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে বেশি বেতন পাবেন। কানাডা সর্বনিম্ন বেতন প্রদেশ
অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে। কানাডা ফেডারেল কর্তৃক নির্ধারিত কাজের সর্বনিম্ন বেতন
প্রতি ঘন্টা ১৭.৩০ ডলার। সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন বেতন মিনিটোবা এবং সবচেয়ে
বেশি বেতন যুকনে পাওয়া যায়। বর্তমান কানাডা সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৩ লাখ
থেকে 5 লক্ষ টাকা। এদেশে দৈনিক আট ঘন্টা কাজ করতে হয়।
কানাডা ভিসা ফি সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ কানাডায় কৃষি কাজের বেতন কত?
উত্তরঃ কানাডায় কৃষি কাজের বেতন প্রায় তিন লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে।
প্রশ্নঃ কানাডায় ক্লিনারের বেতন কতঃ
উত্তরঃ কানাডায় ক্লিনারের বেতন ৪ লাখ থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত?
উত্তরঃ কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ৫ লাখ থেকে দশ লাখ টাকা।
প্রশ্নঃ কানাডার পারমিট ভিসা খরচ কত?
উত্তরঃ পারমিট ভিসা খরচ প্রায় ১২ লাখ থেকে 15 লাখ পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ কানাডায় ভিসার ফি কত?
উত্তরঃ নির্ভর করে ভিসা ধরনের ওপর। তবে সাধারণত ভিসা আবেদন ফি কানাডিয়ান
১০০ ডলার থেকে ৩০০ ডলার পর্যন্ত।
শেষ মন্তব্যঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইডলাইন খুব সহজ ও
বিস্তারিতভাবে ধারণা ব্যবহার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি ভিসা ধরন অনুযায়ী খরচ,
বায়োমেট্রিক ফি, মেডিকেল ও অন্যান্য খরচের তথ্য স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা
হয়েছে যা কানাডায় পড়াশোনা, চাকরি বা স্থায়ী বসবাসের পরিকল্পনা করে এমন সবাইকে
সাহায্য করবে। আবেদন করার আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য টা জানা খুব
জরুরী। কারণ নিয়ম ও ফি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে।
ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার সফল হওয়ার জন্য ধৈর্য ও প্রস্তুতি অপরিহার্য। সময়মতো
সব ডকুমেন্ট তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞ কাউন্সিলরের সাহায্য নিতে
হবে। নিজের পরিকল্পনা ভালো করে সাজিয়ে সাবধানে আবেদন করলে আপনার কানাডার যাওয়ার
স্বপ্ন পূরণ অনেক সহজ হবে। যদি আপনার আর্টিকেল করে উপকৃত হন তাহলে আপনাদের
বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন। সবাইকে সফল ভিসা প্রাপ্তির শুভকামনা রইল।
ইদুল আইটি মাস্টার এর নীতিমালা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url